তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সাফল্যের অগ্রগতিতে ভারতের সহায়তার ওপর নির্ভর করি। একইসাথে, আমরা ‘সোনার বাংলা’ গঠন করবো। এর মাধ্যমে আমরা শহীদ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জানাতে পারব। এবং, অবশ্যই, বাংলাদেশের সাফল্য আপনাদের সাফল্য হবে, কারণ আপনারা দেশের স্বাধীনতার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।’
বৃহস্পতিবার জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) ১৯৭১ সালের বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মরণে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব বলেন হাইকমিশনার মুয়াজ্জেম আলী।
জেএনইউ ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (একটি থিঙ্ক ট্যাংক) যৌথভাবে সেমিনারে আয়োজন করেছে বলে জানায় নয়াদিল্লিতে অবস্থিত দূতাবাস।
অনুষ্ঠানে জেএনইউ’র উপাচার্য এম জগদেশ কুমার ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক মেজর জেনারেল ধ্রুভ কোটচ বক্তব্য রাখেন।
মুয়াজ্জেম আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা' নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছেন। বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্ব দেখিয়েছে যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতি থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং তার যোগ্য মেয়ে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের এই দুই মহান নেতার অবদানের কথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্ণনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং তার মেয়ে শেখ হাসিনা এটি রক্ষা করেছেন।’
বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের আন্তরিক সহযোগিতা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন দূত। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করা ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মুয়াজ্জেম আলী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমাদের সরকার ও ভারতের জনগণের অমূল্য অবদান বাংলাদেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বন্ধনের একটি প্রভাবশালী উপাদান।’